আগামী ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে গত কয়েক বছর ধরে নবীন এবং প্রবীণের এক সম্মিলনী প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি নতুনদের যেমন জায়গা দিচ্ছেন, তেমনি প্রবীনদেরকেও রাখছেন। নবীন এবং প্রবীণের এই মিশ্রণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি নতুন মাত্রা তৈরি করেছে। এবারের কাউন্সিলেও আওয়ামী লীগে অনেক নতুনরা আরও শক্তিশালী অবস্থানে আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
১. এনামুল হক শামীম: এনামুল হক শামীম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু ২০১৮ এর নির্বাচনের পর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতির দল এবং সরকারকে আলাদা করার যে নীতি গ্রহণ করেছেন, সেই নীতির আওতায় এনামুল হক শামীম আর দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকেনি। তবে এবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে তার ফিরে আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিতে পারেন।
২. মহিবুল হাসান চৌধুরী: মহিবুল হাসান চৌধুরীও গতবার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এখন তিনি উপমন্ত্রী। মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রায়ত মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান এবং রাজনীতিতে ইতিমধ্যে তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। এই বাস্তবতায় আগামী কাউন্সিলে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ফিরে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩. বিপ্লব বড়ুয়া: বিপ্লব বড়ুয়া আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আওয়ামী লীগে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সম্ভাবনাময় একজন নেতা হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এবারের কাউন্সিলে তার পদোন্নতি হতে পারে। গত কাউন্সিলের আগে তিনি সহ-দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। গত কাউন্সিলে তিনি দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন। এবারও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার পদোন্নতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
৪. এস এম কামাল: আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা নির্বাচন করেন না, সংগঠনের জন্যই সার্বক্ষণিকভাবে সময় দেন তাদের অন্যতম হলেন এস এম কামাল। তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী কাউন্সিলে তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন। বিশেষ করে যারা সার্বক্ষণিকভাবে সংগঠন এবং দলকে সময় দেন তাদের মধ্যে এস এম কামাল অন্যতম।
৫. আবদুস সোবহান গোলাপ: আবদুস সোবহান গোলাপ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একাধারে তিনি মাদারীপুরের একটি আসনের এমপিও বটে। এবারের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আসতে পারেন বলে একাধিক মহল মনে করছেন।
এছাড়াও এবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে অনেক চমক তৈরি হবে। আরও নতুন নেতৃত্ব সামনে আসবেন বলেও একাধিক সূত্র মনে করছে। বিশেষ করে এবারে কাউন্সিলের মাধ্যমে বেশ কিছু প্রবীণ নেতৃত্ব সরে যাবেন এবং সেই শূন্যস্থান পূরণ করবেন তরুণ সম্ভাবনাময় নেতারা।